অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন | NID Card Correction

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে সাধারনত প্রয়োজন হয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কপি, এমপিও শীট বা সার্ভিস বইয়ের কপি, বিয়ের কাবিন নামা, পিতা-মাতার আইডি কার্ড ও সন্তানদের আইডি কার্ড।

এগুলোর যে কোন ২টি ডকুমেন্ট দিয়ে এন আই ডি কার্ড সংশোধন করা যায়। মুলত তথ্য সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আলাদা হয়ে থাকে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি প্রয়োজন?

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা নির্ভর করবে জাতীয় পরিচয়পত্রে কী ধরনের তথ্য পরিবর্তন করতে হবে তার ওপর। প্রধানত শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ই-পাসপোর্ট, এই নথিগুলি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য প্রথমে services.nidw.gov.bd ভিজিট করুন। এখানে NID নম্বর, জন্মতারিখ ও ঠিকানা দিয়ে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। লগইন করে প্রোফাইল থেকে এডিট লিংক ক্লিক করে তথ্য গুলো সংশোধন করুন। এরপর সংশোধন ফি ও প্রমাণপত্র আপলোড করে আবেদন জমা দিন। আবেদন অনুমোদিত হলে তথ্য সংশোধন হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়াটি নিচে বিস্তারিত দেখানো হলো। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করে আপনার এনআইডি সংশোধনের আবেদন করতে পারবেন।

ধাপ ১ – প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান/ ছবি তুলে নিন

ভোটার আইডি সংশোধন আবেদন করার আগে আপনার ‍উচিত প্রয়োজনীয় প্রমাণগুলো স্ক্যান করে নির্দিষ্ট সাইজের মধ্যে Crop করে নেয়া। স্ক্যান করতে না পারলে, কোন টেবিলের উপর রেখে উপর থেকে ছবি তুলে নিন।

ধাপ ২ – এনআইডি ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করুন

যদি জাতীয় পরিচয়পত্রের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করা থাকে সরাসরি NID নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। রেজিস্ট্রেশন করা না থাকলে আগে রেজিস্টার অপশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন।

ধাপ ৩ – তথ্য সংশোধন করুন

জাতীয় পরিচয় পত্রের একাউন্টে লগইন করার পর প্রোফাইল অপশনে যান। এখানে ৩ ধরণের তথ্য রয়েছে, ব্যক্তিগত তথ্য, অন্যান্য তথ্য ও ঠিকানা।

ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করার জন্য, উপরের ডান পাশ থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করবেন। নিচের মত তথ্যগুলো সংশোধন করার অপশন পাবেন।

আপনি যে তথ্যটি সংশোধন করতে চান, তার বাম পাশের টিক অপশনে ক্লিক করুন। এভাবে আপনার ভুল তথ্যগুলো প্রমাণপত্রের সাথে মিল রেখে সঠিকভাবে টাইপ করুন। তারপর, পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার সংশোধন করা তথ্যের পূর্বরুপ ও সংশোধিত রুপ দেখতে পাবেন। সব ঠিক থাকলে আবারও পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪ – জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফি প্রদান করুন

এখন, আপনাকে আপনার ভুল তথ্যের ধরণ অনুযায়ী ফি প্রদান করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের এতক্ষণ যা করেছেন তা ক্লোজ করবেন না। ফি প্রদান করেই আপনাকে আবার আবেদনের বাকি কাজ শেষ করতে হবে। আরও পড়ুন- এনআইডি সংশোধন করতে কত টাকা লাগে।

ধাপ ৫ – ডকুমেন্ট আপলোড ও আবেদন সাবমিট

আপনাকে ১ম ধাপেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো স্ক্যান বা ছবি তুলে একটি ফোল্ডারে রাখার জন্য বলেছিলাম। এখন প্রয়োজন মোতাবেক আপনার ডকুমেন্ট গুলো আপলোড করে আবেদন সাবমিট করতে পারবেন।

আপনি আইডি কার্ডের যে তথ্য পরিবর্তনের জন্য আবেদন জমা দিতে চলেছেন, তা প্রমান করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র আপলোড কতে হবে। ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধনের জন্য সবথেকে কার্যকর প্রমান হলো শিক্ষাগত যোজ্ঞতার সনদ, পাসপোর্ট কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। তার পাশাপাশি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ আপলোড করতে হবে।

ধাপ ৬ – ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফরম ডাউনলোড

আবেদন সাবমিট করার পর, ড্যাশবোর্ডে ফিরে আসুন। উপরের দিকে আবেদনটি ডাউনলোড করার একটি লিংক দেখতে পাবেন। লিংকে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন ফরম ডাউনলোড করে নিজের কাছে সংরক্ষণ করুন।

বিকাশের মাধ্যমে সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম

বিকাশের মাধ্যমে ফি দিতে বিকাশ এ্যাপ থেকে আপনার বিকাশ একাউন্টে লগইন করুন। এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

  1. পে বিল অপশনে যান;
  2. সরকারি ফি অপশনে ক্লিক করুন এবং NID Service অপশনটি বাছাই করুন;
  3. আপনার NID নম্বরটি ইংরেজিতে লিখুন;
  4. আপনার আবেদনের ধরণ বাছাই করুন;
  5. আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন নম্বর দিয়ে ফি পরিশোধ করুন।

ফি পরিশোধ করা হলে আপনি জাতীয় পরিচয়পত্রের ওয়েবসাইটে আবার ফিরে জান এবং প্রমাণপত্রসমূহ আপলোড করে আবেদনটি সাবমিট করুন।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।