ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা Voter Slip নাম্বার দরকার পড়বে। যদি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার জানা না থাকে তাহলে এসএমএস এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার বের করে নিতে পারবেন। যদি 105 থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের এসএমএস না পান তাহলে এসএমএস না পেলে করণীয় গুলো দেখুন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যা যা দরকার ।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার পূর্বে অবশ্যই নিচে উল্লেখিত ডকুমেন্টস ও ইকুইপমেন্ট গুলো সংগ্রহ করে রাখবেন।

  • Nidw থেকে আইডি কার্ড ডাউনলোড এর জন্য ২টি ডিভাইস প্রয়োজন হবে। প্রথম ডিভাইস থেকে Nidw অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে, এবং দ্বিতীয় ডিভাইস (অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন) থেকে ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
  • অবশ্যই ডিভাইস গুলোতে ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। প্রথমবার রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে ফেজ ভেরিফিকেশন করা বাধ্যতামূলক। দ্বিতীয়বার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে ফেস ভেরিফিকেশন প্রযোজ্য নয়।
  • একটি সচল মোবাইল নাম্বার, অথবা ভোটার নিবন্ধনের সময় যেই মোবাইল নাম্বারটি প্রদান করেছিলেন সেটি প্রয়োজন হবে।
  • ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার অথবা ভোটার স্লিপ নাম্বার।
  • ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ।
  • বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা।

এগুলো সংগ্রহ করে নিচে দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে ভোটার আইডি ডাউনলোড করুন, ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিচে ধাপ অনুসারে দেখানো হলো।

অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন লিঙ্ক: https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

ভোটার আইডি ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এরপরে ফরম নাম্বার বা ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার, জন্ম তারিখ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। সবশেষে পাসওয়ার্ড সেট করে প্রোফাইল থেকে “ডাউনলোড” বাটনে ক্লিক করলে আইডি কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের nidw ওয়েবসাইট থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড প্রক্রিয়া অনেক সহজ। তবে শুধুমাত্র সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন। আপনি যদি ভুলক্রমে ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে ফেলেন, তাহলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

অথবা আপনি যদি নতুন ভোটার নিবন্ধন করেন, এবং কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আপনার ভোটার আইডি কার্ড প্রয়োজন হয় তাহলে খুব সহজেই নিচে দেখানো পদ্ধতি অনুসরণ করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।

ধাপ ১: Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড এর জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের Nidw অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। কেননা ভোটার নিবন্ধনের সকল তথ্যগুলো Nidw ওয়েব সাইটে সংরক্ষণ করা হয়।

Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংকে ক্লিক করুন।

ধাপ ২: একাউন্ট রেজিস্টার করুন।

Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে একাউন্ট রেজিস্টার করার জন্য প্রথমে “রেজিস্টার একাউন্ট” বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বসিয়ে দিয়ে, জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ বসিয়ে দিন।

যদি জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার না জানা থাকে বা নতুন নিবন্ধন হয়েছেন এখন পর্যন্ত আইডি কার্ড হাতে পাননি তাহলে নিবন্ধনের সময় দেওয়া স্লিপ নাম্বারটি প্রদান করুন। ভোটার স্লিপ নাম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ৮/৯ সংখ্যার ভোটার স্লিপের পূর্বে NIDFN যোগ করে নিতে হবে।  যেমন আপনার ভোটার স্লিপ নাম্বার যদি হয় 123456789 , তাহলে আপনাকে টাইপ করতে হবে NIDFN123456789 ও ভোটার নিবন্ধনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জন্ম তারিখ বসিয়ে দিন।

এই তথ্যগুলো যথাক্রমে প্রদান করে নিচে থাকা ক্যাপচা কোডটি পূরণ করে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন। যদি Nidw ওয়েবসাইটে পূর্বে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করা থাকে তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা ইউজারনেইম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিবেন।

ধাপ ৩: ঠিকানা প্রদান করুন।

অ্যাকাউন্ট রেজিস্টরের তথ্যগুলো প্রদান করার পরে আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করতে হবে। যথাক্রমে এনআইডি কার্ডে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করুন। এখানে জেলা, উপজেলা, বিভাগ বসিয়ে দিতে হবে। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা বসিয়ে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: মোবাইল ভেরিফিকেশন করুন।

ঠিকানা প্রদান করার পরে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন পেইজে নিয়ে আসা হবে। এখানে অটোমেটিক ভাবে ভোটার নিবন্ধনের সময় দেওয়া মোবাইল নাম্বারটি চলে আসবে। যদি মোবাইল নাম্বার না আসে তাহলে একটি নতুন সচল মোবাইল নাম্বার বসিয়ে দিন।

এরপরে ভেরিফিকেশনের জন্য “বার্তা পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন। উক্ত নাম্বারে এনআইডি সার্ভিস থেকে ৬ ডিজিটের একটি ওটিপি কোড পাঠানো হবে, উক্ত কোডটি বসিয়ে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।

ধাপ ৫: Nid Wallet অ্যাপস ডাউনলোড।

মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করার পরে একটি নূতন পেজ ওপেন হবে এখানে একটি QR কোড আসবে।

প্রথমে আপনার দ্বিতীয় ডিভাইস থেকে অর্থাৎ মোবাইল ফোন থেকে গুগল প্লেস্টোরে গিয়ে Nid Wallet এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করুন। এরপরে মালিকানা যাচাই করার জন্য Nid Wallet অ্যাপসটি ওপেন করে প্রথম ডিভাইসে থাকা QR কোডটি স্ক্যান করুন।

ধাপ ৬: ফেইস ভেরিফিকেশন করুন।

QR কোড স্ক্যান করার পরে Nid Wallet অ্যাপস থেকে Start Face Scan বাটনে ক্লিক করে ফেইস ভেরিফিকেশন শুরু করতে হবে। Start Face Scan বাটনে ক্লিক করার পরে অটোমেটিক ক্যামেরা ওপেন হবে এখানে ব্যক্তির মুখমন্ডল প্রথমে সোজাসুজি ক্যামেরার দিকে রেখে, এরপরে একটু ডানে ও বামে ঘুরিয়ে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ করুন।

ধাপ ৭: পাসওয়ার্ড সেট করুন।

ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলে প্রথম ডিভাইসে পাসওয়ার্ড সেট নামক একটি পেজ ওপেন হবে। ভবিষ্যতে ফেইস ভেরিফিকেশন সম্পর্কিত ঝামেলা এড়িয়ে চলতে একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড সেট করে পাসওয়ার্ডটি আপনার কাছে সংরক্ষণ করে রাখুন।

ধাপ ৮: ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন।

সঠিকভাবে পাসওয়ার্ড সেট করা হলে অটোমেটিক nidw ওয়েবসাইটে লগইন হয়ে যাবে। এরপরে প্রোফাইল অপশনে প্রবেশ করে একটু নিচে লক্ষ্য করুন “ডাউনলোড” নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন।

ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করার পরে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি ডিভাইসে পিডিএফ ফাইল হিসেবে ডাউনলোড হবে।পরবর্তীতে এটিকে প্রিন্ট করে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এই আইডি কার্ড দ্বারা যাবতীয় নাগরিক সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

যেহেতু বর্তমানে প্রত্যেক নতুন ভোটারদেরকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সেহেতু স্মার্টকার্ড পাওয়ার পূর্ব সময় পর্যন্ত কিংবা পরবর্তী সময়েও এই অনলাইন কপি প্রিন্ট করে আপনি সমস্ত কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করার পরে সেটি গ্রহণযোগ্য হলে নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট থেকে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। এর জন্য পূর্বের একাউন্টে লগইন করে প্রোফাইল থেকে ডাউনলোড করতে হবে। ভোটার করেন সেক্ষেত্রে আইডি কার্ড সংশোধনের ধরন অনুযায়ী যদি ঠিকানা পরিবর্তন করেন সে ক্ষেত্রে নতুন ভোটার আইডি কার্ড পাবেন না। এখানে সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য ভোটার আইডি কার্ড রি ইস্যু আবেদন করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কিত প্রশ্নসমূহ FAQ

কোথায় থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে

আপনি অনলাইন থেকে nidw অয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন অথবা যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।

আমি এখন বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ড কি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে?

হ্যা পারবে । অনলাইন থেকেও ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেছে । কি করবো?

ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে ভোটার লিস্ট থেকে আপনার ভোটার নাম্বারটি সংগ্রহ করুন এবং উপজেলা নির্বাচন কমিশনের যোগাযোগ করুন। দেখুন ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করনীয়

ভোটার আইডি কার্ড নম্বর কারো ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?

২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড কবে দিবে ২০২৩?

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০২৩ সালে নিবন্ধন হওয়া নতুন ভোটারদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করবে শীঘ্রই।

হারানো ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করব

ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে কিভাবে নষ্ট হয়ে গেলে উপজেলা নির্বাচন কমিশন অথবা অনলাইনে রিইস্যু আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে ফি প্রদান করতে হবে।

আমার ID Card এর ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?

এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

ক্যাটাগরিNID Service
মুল পাতাnidw
অ্যাকাউন্ট নিবন্ধনRegistration Click
আইডি কার্ড রি ইস্যু Reissue Apply
Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।